
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে প্রেসক্রিপশন সফটওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা এবং ProtonEMR-এর ভূমিকা
বর্তমান যুগে চিকিৎসা সেবা যতটা উন্নত হচ্ছে, সেই তুলনায় বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার এখনও অনেক পিছিয়ে। এখনো অধিকাংশ ডাক্তার কলম ও কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখে থাকেন। যদিও এই পদ্ধতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, কিন্তু এতে রয়েছে কিছু মৌলিক সীমাবদ্ধতা যা রোগী এবং চিকিৎসক উভয়ের জন্যই সমস্যার সৃষ্টি করে।
কাগজে-কলমে প্রেসক্রিপশন ব্যবহারের সাধারণ সমস্যাসমূহ:
- হাতের লেখা অস্পষ্ট হওয়ায় ওষুধ ভুল বোঝার ঝুঁকি থাকে।
- ডোজ বা ব্যবহারের নির্দেশনায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- পুরনো প্রেসক্রিপশন খুঁজে পাওয়া কঠিন, ফলে ফলোআপ চিকিৎসায় সমস্যা হয়।
- রোগীর পূর্বের ইতিহাস না জানা গেলে ভুল চিকিৎসার আশঙ্কা থাকে।
- প্রতিবার নতুন করে নাম, বয়স, ঠিকানা ইত্যাদি টাইপ করতে হয়।
বাংলাদেশে এখনো অধিকাংশ চিকিৎসক কাগজ ও কলমে প্রেসক্রিপশন প্রদান করেন। এটি বহু বছর ধরে প্রচলিত পদ্ধতি হলেও এতে রয়েছে বেশ কিছু সমস্যা যা রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
ProtonEMR-এর সাহায্যে এই সমস্যার সমাধান:
- প্রিন্টযোগ্য, পরিষ্কার এবং সুন্দর ফরম্যাটে প্রেসক্রিপশন প্রদান।
- রোগীর সকল তথ্য (ইতিহাস, রিপোর্ট, পূর্ববর্তী চিকিৎসা) ডিজিটালি সংরক্ষিত।
- কমন ওষুধ ও রোগের নাম সফটওয়্যারেই সেভ থাকায় সময় বাঁচে।
- বয়স ও ওজন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় ডোজ সাজেশন পাওয়া যায়।
- প্রেসক্রিপশন SMS বা WhatsApp-এ রোগীকে পাঠানো যায়।
- রিপোর্ট ও প্রেসক্রিপশন বিশ্লেষণ করে উন্নত চিকিৎসায় সহায়তা করে।
কারা ব্যবহার করতে পারেন ProtonEMR?
- একক প্র্যাকটিশনার বা চেম্বার ভিত্তিক ডাক্তাররা।
- প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
- হাসপাতাল বা মেডিকেল ইনস্টিটিউশন।
- মেডিকেল অফিসার ও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
রোগীর তথ্যের নিরাপত্তা
ProtonEMR রোগীর সকল তথ্য এনক্রিপ্ট করে সংরক্ষণ করে। এটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান যেমন GDPR ও HIPAA অনুসরণ করে, ফলে তথ্য থাকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
উপসংহার
স্বাস্থ্য খাতে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে হলে প্রেসক্রিপশন পদ্ধতিকে ডিজিটাল করা প্রয়োজন। কাগজে লেখা প্রেসক্রিপশনের সীমাবদ্ধতা দূর করে ProtonEMR চিকিৎসকদের জন্য আধুনিক ও সাশ্রয়ী সমাধান প্রদান করে। এখনই প্রযুক্তির সাথে নিজেকে সংযুক্ত করুন, চিকিৎসা সেবাকে আরও নিখুঁত ও নিরাপদ করুন।